রমযানের মেরু প্যারাডক্স

From WikiIslam, the online resource on Islam
Jump to navigation Jump to search
The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.
ভৌগলিক দক্ষিণ মেরু

এই নিবন্ধের প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ উত্তরদক্ষিন মেরুতে রমযানের সম্পর্ক বিশ্লষণ করে। কোরআনে ইসলামী আইন অনুযায়ী, রোযা পালন ও ভঙ্গ করা সূর্যোদয়ের সময় এবং সূর্যাস্তের সাথে সম্পর্কযুক্ত যা পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মত মেরু অঞ্চল গুলোতে হয়না।


“মেরু অঞ্চলের দেশগুলোতে দিন এবং রাত কতটুকু দীর্ঘ?”
আমরা যতই মেরু অঞ্চলের কাছাকাছি যায়, দিন বা রাত কয়েক মাস পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। উত্তর মেরুতে একটানা ছয় মাস দিন এবং একটানা ছয় মাস রাত থাকে।


“কেন মুসলিমরা রোযা চলাকালীন সময়ে মেরু অঞ্চলে উপোস থাকতে পারবে না?”
একজন মুসলিম দিনের শুরুর সময় থেকে রোযা রাখা শুরু করবে এবং তা সূর্যাস্তের সময় শেষ হবে। সূর্যকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায় যে, সূর্য আকাশে দিন, সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। এই অবস্থায় রোযা রাখলে মুসলিমদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত উপোস থাকতে হবে। আমাদের শরীর খাদ্য ছাড়া একাধিক দিনের জন্য বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু পানি ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।


“ইসলামিক পন্ডিতরা এই সমস্যার কী সমাধান দিয়ে থাকেন?”
ইসলামী পণ্ডিতগণ যেভাবে তারা পারেন একটা সমাধান দেবার চেষ্টা করেন। পণ্ডিতরা একটি ফতোয়া জারি করে যে, মুসলিমরা তাদের আসল দেশের সময়সূচী অনুসরণ করবে অথবা নিকটতম দেশকে অনুসরণ করবে যেখানে দিন ও রাতের পার্থক্য বোঝা যায়। এক ইসলামী পণ্ডিত ঘোষণা করেছেন যে একজন মুসলিমকে ২0 ঘণ্টার জন্য উপোস থাকতে হবে। [1]


“মেরুবর্তী দেশগুলোতে একজন মুসলিমকে কতক্ষণ উপোস থাকতে হবে?”
নিচের ছকটি দেখুন। রোযার শুরু ভোরে এবং শেষ হয় সূর্যাস্তের সময়।

দেশ তারিখ ভোর সূর্যাস্ত রোযার সময়কাল
অসলো, নরওয়ে ২৮ জুন, ২০১৪ ২:২৭ এএম ১০:৪৩ পিএম ২০ ঘণ্টা ১৬ মিনিট
জুনো, আলাস্কা ২৮ জুন, ২০১৪ ২:২৫ এএম ১০:০৭ পিএম ১৯ ঘণ্টা ৪২ মিনিট
রায়েকজাভিক, আইসল্যান্ড ৩০ জুন, ২০১৪ ১:৩৪ এএম ১২:০২ এএম ২২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট

সুতরাং যদি একজন মুসলিম আইসল্যান্ডে রোযা থেকে থাকেন , তাহলে তার প্রায় পুরো দিনটাই রোযা রাখা উচিৎ।

"কেন আসল দেশের সময়সূচী অনুসরণ করা আমাদের জন্য একটি সঠিক সমাধান নয়?"
কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি মেরুতে জন্ম নেয় তাহলে কি হবে? এবং কেন অন্য কেউ অন্য দেশের সময়সূচী অনুসরণ করবে?


"দিন এবং রাতের মধ্যে পার্থক্য করা যায় এমন নিকটবর্তী দেশের সময়সূচি অনুসরণ করা কেন একটি সঠিক সমাধান নয়?"
কেন কেউ অন্য দেশের সময়সূচী অনুসরণ করবে? এখানে 'নিকটবর্তী দেশ' এর অর্থ কী? নিকটতম দেশেও দিন বা রাত ২৩ ঘণ্টা ব্যাপীই থাকে।

উত্তর মেরু


"যদি কোন মুসলিম মহাকাশচারী (যেমন আনুশেহ আনসারী[2]) মহাকাশে যায় এবং যদি নামাজ পড়তে বা রোযা রাখতে চায়?"
একজন মুসলিম যদি চাঁদের চার দিকে পরিভ্রমণ করেন তাহলে তিনি তাহলে তিনি মক্কা অভিমুখে মুখ করে নামাজ পড়তে পারবেন না, তাই পণ্ডিতরা গাইডলাইন ফর পারফরমিং ইসলামিক রাইটস (ইবাদাহ) এট দ্য ইনটারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ইসলামিক কার্যকলাপসমূহের রীতিনীতি (ইবাদত)) নামে একটি নির্দেশিকা তৈরি করে বিষয়টি নিজেরাই নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে এটিও উল্লেখ করা আবশ্যক যে, যদি কোন মুসলিম মহাকাশচারী আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং চাঁদে রোযা রেখে সময় ব্যয় করেন তাহলে তার মিশন নিশ্চতভাবেই বিপদের সম্মুখীন হবে। উপরন্তু, ভ্রমণের সময় রোযা রাখার কোন বাধ্যবাধকতা নেই, এবং স্পেস মিশন অবশ্যই একটি ভ্রমণ হিসাবে গণ্য হয়।


"কেন আপনি মনে করেন যে ইসলাম মুসলিম মহাকাশচারী ও মেরুতে বসবাসকারী মুসলিমদের কথা ভাবেনি?"
আমরা বুঝতে পারি যে সপ্তম শতকের মরুভূমির বাসিন্দারা মেরু সমপর্কে জানত না অথবা বিশ্বাস করতেন যে মুসলমানেরা কোনদিনই মহাকাশে যেতে পারবেনা , কিন্তু একজন সর্বজ্ঞ সত্তাকে এব্যাপারে খুব ভালভাবেই জানা উচিৎ। যিনি এই নিয়মগুলি তৈরি করেছেন, হয় তিনি এটা বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবী সমতল, অথবা এটা বিশ্বাস করতেন পৃথিবী সূর্যের সাপেক্ষে নিখুঁত লম্বভাবে হেলে আছে।


আরো দেখুন

  • রোযা - রোযা বিষয়ক নিবন্ধসমূহ রয়েছে এমন একটি হাব পেইজ
  • বিশ্বতত্ত্ব - বিশ্বতত্ত্ব বিষয়ক নিবন্ধসমূহ রয়েছে এমন একটি হাব পেইজ

বহিঃস্থ সূত্র

তথ্যসূত্র

  1. "Indeed, the fasts may be twenty hours long, but this is something one will have to adhere to." Fasting in extreme latitudes - Sunnipath.com Q&A
  2. Behrouz Saba - First Female Muslim Astronaut Could Help Bridge U.S.-Iran Gap - New America Media, September 20, 2006